1. dailykhulnanews@gmail.com : dailykhulnanews : dailykhulnanews
  2. doinikuttorerdinkal@gmail.com : doinikuttorerdinkal : doinikuttorerdinkal
  3. vantagesoftglobal@gmail.com : vantagesoftglobal vantagesoftglobal : vantagesoftglobal vantagesoftglobal
শিরোনাম
বাসের ধাক্কায় বিএনপি নেতা নিহত… সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সড়ক দুর্ঘটনায় দিনমজুরের মৃত্যু: ঘাতক বাস পলাতক ইসকনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কুরআনী-নুর ফাউন্ডেশনের নিন্দা। লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার বিক্রির সময় অভিযান চালিয়ে ৩৬০ বস্তা সার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বর্ণাঢ্য আয়োজনে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন যুবদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত…. পীরগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২ জন… মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজী অপহরণের প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে ইমান আক্বিদা রক্ষা কমিটির বিক্ষোভ মিছিল… ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান আশংকাজনক হারে রংপুরে বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ; ৮৬জন আক্রান্ত সিরাজগঞ্জে কবরস্থান থেকে ১৬টি মানবকঙ্কাল চুরি, এলাকায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক।

‘তুমি না সরলে আমি মাহিরের হতে পারব না’ ; বর্ষা

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনের হত্যার পরিকল্পনায় নাম উঠে এসেছে তারই ছাত্রী ও প্রেমিকা বার্জিস শাবনাম বর্ষার। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তার প্রথম প্রেমিক মাহির।

পুলিশ বলছে, ঘাতক মাহিরের ছুরিকাঘাতে আহত জুবায়েদ তার ছাত্রী ও প্রেমিকা বর্ষার কাছে শেষ মুহূর্তে বাঁচার আকুতি জানিয়ে সিঁড়িতে যখন ছটফট করছিল, তখর জুবায়েদেরে উদ্দেশে বর্ষা বলেন, ‘তুমি না সরলে আমি মাহিরের হতে পারব না’। এর কিছু সময় পরেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান জুবায়েদ।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবের) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থী জুবায়েদ পুরান ঢাকার বংশাল থানার নুরবক্স লেনের একটি বাসায় ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে হত্যার শিকার হন। নিহত জুবায়েদ বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকা বর্ষা একই সময়ে মাহির ও জুবায়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ত্রিভূজ প্রেম থেকে বের হতে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজান বর্ষা। এঘটনায় ছাত্রী বর্ষা তার প্রথম প্রেমিক মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা একই সময়ে তার গৃহশিক্ষক জুবায়েদ ও মাহিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বর্ষার প্রথম প্রেমিক মাহির বিষয়টি নিয়ে বর্ষাকে চাপ প্রয়োগ করলে সেদিনই গৃহশিক্ষক জুবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। পরবর্তীতে মাহির ও তার বন্ধু আইলান মিলে চাকু কিনে গত ১৯ অক্টোবর বর্ষার বাসায় অবস্থান নেন। 

আর বর্ষা তার শিক্ষক ও প্রেমিক জুবায়েদকে ডেকে আনেন। এরপরই বর্ষার বাসার সিড়িঘরে জুবায়েদকে বলা হয় বর্ষার থেকে সরে আসতে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে জুবায়েদকে গলায় পোঁচ দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান মাহির ও তার বন্ধু আইলান। এই ঘটনায় তাদের তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা তদন্তে পেয়েছি মাহির একই বাসায় ভাড়া থাকত। মাহির ও বর্ষার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তবে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন দেড় বছর আগে। নিহত জুবায়েদ এক বছর ধরে বর্ষাকে পড়াতেন। মেয়েটা জুবায়েদের প্রতি দূর্বল হয়ে যায়। মেয়েটার অবস্থা ছিল এমন যে সে যখন যার কাছে যেত তার কথা বলত। এমন অবস্থায় মাহিরকে তার প্রেমিকা বর্ষা বলেছে, জুবায়েদকে না সরাতে পারলে আমি তোমার হতে পারব না। 

তিনি বলেন, হত্যার পুরো পরিকল্পনা বর্ষার। বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশ মিল রয়েছে। মেয়েটা দুজনের কারো কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ফলে সে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায়।

রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিল কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মাহির ও বর্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর হত্যার পরিকল্পনা করে। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই। এটা ত্রিভূজ প্রেমের ঘটনা।

হত্যার মুহূর্তে বর্ষার শেষ কথার বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, বর্ষা আমাদের নিশ্চিত করেছে যে জুবায়েদ মারা যাওয়ার সময় সে উপস্থিত ছিল। তদন্তে জানা গেছে ছুরিকাঘাতের সময় বর্ষা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল। জোবায়েদ যখন ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছিল, তখন বর্ষা তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘তুমি না সরলে আমি মাহিরের হব না।’

রক্তাক্ত অবস্থায় দ্বিতীয় তলার দরজায় নক করে সাড়া না পেয়ে তৃতীয় তলায় বর্ষাদের দরজায় যায় জুবায়েদ। বর্ষা দরজা খুললেও তাকে সাহায্য করেনি। অল্প সময়ের মধ্যেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জুবায়েদের মৃত্যু হয়। বর্ষাদের বাসা পাঁচতলায় হলেও ঘটনার সময় সে তিনতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নিচের হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে। 

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
শিরোনাম :

প্রযুক্তি সহায়তায়: softhost